ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন করতে কত টাকা লাগে জানেন কী? বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড (NID) একটি অপরিহার্য ডকুমেন্ট। এটি আমাদের নাগরিকত্ব প্রমাণের পাশাপাশি ভোট দেওয়া, পাসপোর্ট তৈরি, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা, চাকরির আবেদন ও অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি কাজে ব্যবহৃত হয়।

তবে অনেক সময় অনাকাঙ্ক্ষিত ভুলের কারণে এনআইডি কার্ডে নাম, জন্ম তারিখ, ঠিকানা, বা অন্যান্য তথ্য ভুল থাকতে পারে। এই ভুল সংশোধন করতে কত টাকা লাগে তা নিয়ে অনেকেই বিভ্রান্ত হন। কেউ মনে করেন ফি ১১৫ টাকা, কেউ বলেন ২৩০ টাকা, আবার কেউ বলেন ৩৪৫ টাকা। এই বিভ্রান্তি দূর করতে এবং সঠিক তথ্য জানাতে আমরা এই আর্টিকেলে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফি, সংশোধনের ধাপ সমূহ, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও সময়কাল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। সেহেতু আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন করতে কত টাকা লাগে

ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন করতে ২৩০ টাকা প্রয়োজন হয় প্রাথমিক ভাবে। ২৩০ টাকা মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বিকাশের মাধ্যমে প্রদান করা যায় খুব সহজেই। ২৩০ টাকা ব্যতিত প্রথম অবস্থায় ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন করতে কোন প্রকার টাকা খরচ হয় না। 

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফি কত?

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, ভোটার আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের ফি নির্ভর করে সংশোধনের ধরন, আবেদনের সংখ্যা, এবং ডেলিভারির ধরন (সাধারণ বা জরুরি) এর উপর। বর্তমান সময়ে সংশোধনের জন্য ৩টি প্রধান ক্যাটাগরি রয়েছে। যথা:

  • ব্যক্তিগত/মৌলিক তথ্য সংশোধন (নাম, জন্ম তারিখ, পিতা-মাতার নাম, রক্তের গ্রুপ ইত্যাদি)।
  • অন্যান্য তথ্য সংশোধন (শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেষা, মোবাইল নম্বর ইত্যাদি)।
  • ঠিকানা সংশোধন

নিম্নে ৩টি প্রধান ক্যাটাগরির আইডি কার্ড সংশোধন ফি তালিকা বিস্তারিত তালিকা উপস্থাপন করা হয়েছে:

১. ব্যক্তিগত/মৌলিক তথ্য সংশোধন ফি

মৌলিক তথ্য বলতে নাগরিকের নিজের নাম (বাংলা ও ইংরেজি), পিতা-মাতার নাম, জন্ম তারিখ, রক্তের গ্রুপ, জন্মস্থান, লিঙ্গ, স্বাক্ষর, ছবি, এবং জন্ম নিবন্ধন নম্বর সংশোধন বোঝায়। মৌলিক তথ্য সংশোধব ফি নিচে উপস্থাপন করা হয়েছে:

  • প্রথমবার আবেদন: ২০০ টাকা + ১৫% ভ্যাট (৩০ টাকা) = মোট ২৩০ টাকা।
  • দ্বিতীয়বার আবেদন: ৩০০ টাকা + ১৫% ভ্যাট (৪৫ টাকা) = মোট ৩৪৫ টাকা।
  • তৃতীয়বার বা তার পরবর্তী আবেদন: ৫০০ টাকা + ১৫% ভ্যাট (৭৫ টাকা) = মোট ৫৭৫ টাকা।

২. অন্যান্য তথ্য সংশোধন ফি

অন্যান্য তথ্য বলতে নাগরিকের শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশা, ড্রাইভিং লাইসেন্স তথ্য, পাসপোর্ট তথ্য, ধর্ম, স্বামী/স্ত্রীর নাম, মোবাইল নম্বর ইত্যাদি বোঝায়। ফি এর তালিকা নিচে উপস্থাপন করা হয়েছে:

  • প্রতিবার আবেদন: ১০০ টাকা + ১৫% ভ্যাট (১৫ টাকা) = মোট ১১৫ টাকা।

৩. ঠিকানা সংশোধন ফি

নাগরিকের জাতীয় পরিচয় পএে যদি ঠিকানায় ভুল থাকে তাহলে তাকে অবশ্যই ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য ফি প্রদান করতে হয়। এক্ষেএে ঠিকানা সংশোধনের ক্ষেত্রে সংশোধন ফি:

  • প্রতিবার আবেদন: ১০০ টাকা + ১৫% ভ্যাট (১৫ টাকা) = মোট ১১৫ টাকা।

৪. উভয় তথ্য সংশোধন ফি

যদি আপনি মৌলিক তথ্য (যেমন নাম) এবং অন্যান্য তথ্য (যেমন শিক্ষাগত যোগ্যতা) বা ঠিকানা একসঙ্গে সংশোধন করতে চান সেক্ষেএে আপনাকে নিম্নলিখিত সংশোধন ফি পরিশোধ করতে হবে:

  • প্রথমবার আবেদন: ৩০০ টাকা + ১৫% ভ্যাট (৪৫ টাকা) = মোট ৩৪৫ টাকা।
  • দ্বিতীয়বার বা পরবর্তী আবেদন: ৫০০ টাকা + ১৫% ভ্যাট (৭৫ টাকা) = মোট ৫৭৫ টাকা।

৫. এনআইডি কার্ড রি-ইস্যু ফি

আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যাদের জাতীয় পরিচয় হারিয়ে গিয়েছে বা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এক্ষেত্রে NID কার্ড হারিয়ে গেলে বা নষ্ট হয়ে গেলে নতুন কার্ড ইস্যু করতে যে সংশোধন ফি প্রদান করতে হয় তা নিম্নে উপস্থাপন করা হয়েছে:

  • সাধারণ রি-ইস্যু: ৩০০ টাকা + ১৫% ভ্যাট (৪৫ টাকা) = মোট ৩৪৫ টাকা।
  • জরুরি রি-ইস্যু: ৫০০ টাকা + ১৫% ভ্যাট (৭৫ টাকা) = মোট ৫৭৫ টাকা।

৬. স্মার্ট কার্ড রিপ্লেস ফি

স্মার্ট কার্ডে ভুল থাকলে বা নতুন স্মার্ট কার্ডের জন্য:

  • ফি: সাধারণ রি-ইস্যু ফি-এর সমান (৩৪৫ টাকা)। তবে, স্মার্ট কার্ড রিপ্লেস করতে স্থানীয় নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করতে হবে এবং ভুল কার্ড জমা দিতে হবে।
নোট: ফি পরিবর্তন হতে পারে। সর্বশেষ ফি এবং নিয়ম জানতে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (services.nidw.gov.bd) দেখুন।

জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন ফি হিসাব করার নিয়ম

আপনার এনআইডি সংশোধন ফি হিসাব করতে নিম্নলিখিত ধাপগুলো অনুসরণ করুন:

  • সংশোধনের ধরন নির্ধারণ করুন: ব্যক্তিগত তথ্য, অন্যান্য তথ্য, ঠিকানা, বা উভয় তথ্য কোনটি সংশোধন করছেন তা নির্ধারণ করুন।
  • আবেদনের সংখ্যা চেক করুন: এটি আপনার প্রথম, দ্বিতীয়, বা তৃতীয়বারের আবেদন কিনা তা জানুন। আগের আবেদনের তথ্য NID ওয়েবসাইটে লগইন করে দেখতে পারেন।
  • ডেলিভারির ধরন নির্বাচন করুন: সাধারণ বা জরুরি ডেলিভারির জন্য ফি ভিন্ন হতে পারে।
  • ভ্যাট যোগ করুন: প্রতিটি ফি-এর সঙ্গে ১৫% ভ্যাট স্বয়ংক্রিয়ভাবে যোগ হবে।

অনলাইন ক্যালকুলেটর ব্যবহার করুন: নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে (services.nidw.gov.bd/nid-pub/fees) গিয়ে আপনার NID নম্বর, সংশোধনের ধরন, এবং ডেলিভারির ধরন দিয়ে ফি হিসাব করতে পারেন। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের NID সিস্টেম স্বয়ংক্রিয়ভাবে সঠিক ফি দেখাবে।

জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন ফি কীভাবে পরিশোধ করবেন?

এনআইডি সংশোধন ফি পরিশোধ করা যায় মোবাইল ব্যাংকিং (বিকাশ, নগদ, রকেট) বা সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে। নিচে বিকাশের মাধ্যমে ফি পরিশোধের ধাপগুলো দেওয়া হলো:

বিকাশের মাধ্যমে ফি পরিশোধ

  1. বিকাশ অ্যাপে লগইন করুন।
  2. পে বিল অপশন নির্বাচন করুন।
  3. সরকারি ফি বিভাগে যান।
  4. NID Service সিলেক্ট করুন।
  5. আপনার NID নম্বর এবং সংশোধনের ধরন (যেমন, মৌলিক তথ্য সংশোধন) লিখুন।
  6. ফি-এর পরিমাণ দেখানো হবে। বিকাশ পিন দিয়ে পেমেন্ট সম্পন্ন করুন।
  7. পেমেন্ট সফল হলে একটি কনফার্মেশন এসএমএস এবং ট্রানজাকশন আইডি পাবেন। এটি সংরক্ষণ করুন।

অনুরূপভাবে, নগদ, রকেট, বা সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমেও ফি পরিশোধ করা যায়। ফি পরিশোধের ৩০ মিনিট পর থেকে আপনি অনলাইনে তথ্য সম্পাদন শুরু করতে পারবেন।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কী কী কাগজপত্র লাগে?

নাম, জন্ম তারিখ, বা অন্যান্য তথ্য সংশোধনের জন্য নিম্নলিখিত কাগজপত্রের স্ক্যান কপি আপলোড করতে হবে:

  • শিক্ষাগত সনদ (এসএসসি/এইচএসসি বা সমমানের সার্টিফিকেট)।
  • জন্ম নিবন্ধন সনদ (অনলাইন কপি)।
  • পিতা-মাতার NID কার্ডের সত্যায়িত কপি।
  • পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স (যদি শিক্ষাগত সনদ না থাকে)।
  • কাবিননামা (নাম পরিবর্তন বা স্বামী/স্ত্রীর নাম যোগ করার ক্ষেত্রে)।
  • নাগরিকত্ব সনদ বা চেয়ারম্যান/ওয়ার্ড কমিশনারের প্রত্যয়নপত্র (প্রয়োজন হলে)।
  • চাকরির প্রমাণপত্র (যদি প্রযোজ্য হয়)।
পরামর্শ: সব কাগজপত্র সত্যায়িত করে আপলোড করুন এবং সঠিক তথ্য প্রদান করুন। ভুল বা অপ্রতুল কাগজপত্রের কারণে আবেদন বাতিল হতে পারে।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত দিন লাগে?

সঠিক কাগজপত্র এবং ফি জমা দেওয়ার পর সাধারণত ৭ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে সংশোধন সম্পন্ন হয়। জরুরি সংশোধনের ক্ষেত্রে এটি ৩ থেকে ৭ দিন লাগতে পারে। তবে, নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৪৫ দিন সময় নির্ধারিত আছে। সংশোধন সম্পন্ন হলে আপনার মোবাইলে একটি এসএমএস আসবে, এবং আপনি অনলাইন থেকে সংশোধিত NID ডাউনলোড করতে পারবেন। স্মার্ট কার্ড রিপ্লেস করতে অতিরিক্ত সময় লাগতে পারে, এবং এর জন্য নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করতে হবে।

কীভাবে অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করবেন?

অনলাইনে এনআইডি সংশোধন করার ধাপগুলো নিম্নরূপ:

  1. NID ওয়েবসাইটে যান: services.nidw.gov.bd ভিজিট করুন।
  2. রেজিস্ট্রেশন করুন: NID নম্বর, জন্ম তারিখ, এবং মোবাইল নম্বর দিয়ে রেজিস্টার করুন। NID Wallet অ্যাপ ব্যবহার করে ফেস ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করুন।
  3. লগইন করুন: রেজিস্টার্ড অ্যাকাউন্টে লগইন করে প্রোফাইল অপশনে যান।
  4. তথ্য সম্পাদনা করুন: “এডিট” বাটনে ক্লিক করে প্রয়োজনীয় তথ্য (যেমন নাম, জন্ম তারিখ) সংশোধন করুন।
  5. কাগজপত্র আপলোড করুন: প্রয়োজনীয় সত্যায়িত কাগজপত্রের স্ক্যান কপি আপলোড করুন।
  6. ফি পরিশোধ করুন: উপরে উল্লিখিত পদ্ধতিতে ফি জমা দিন।
  7. আবেদন দাখিল করুন: আবেদনটি জমা দিন এবং প্রাপ্তি স্বীকারপত্র (Application ID) সংরক্ষণ করুন।

স্ট্যাটাস চেক করুন: ওয়েবসাইটে লগইন করে আবেদনের অগ্রগতি দেখতে পারেন।

টিপস: আবেদনের সময় সঠিক তথ্য এবং কাগজপত্র দিন। ভুল তথ্য প্রদান করলে আবেদন বাতিল হতে পারে, এবং আবার ফি দিয়ে নতুন আবেদন করতে হবে।

স্মার্ট কার্ড সংশোধন সম্পর্কে বিশেষ তথ্য

স্মার্ট কার্ডে তথ্য সংশোধনের পর সাধারণত অনলাইনে সংশোধিত তথ্য আপডেট হয়। তবে, নতুন তথ্যসহ নতুন স্মার্ট কার্ড পেতে স্থানীয় নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করতে হবে। প্রক্রিয়াটি সময়সাপেক্ষ হতে পারে। বিকল্প হিসেবে, আপনি অনলাইন থেকে সংশোধিত NID ডাউনলোড করে ল্যামিনেটেড কপি ব্যবহার করতে পারেন। স্মার্ট কার্ড রিপ্লেস করতে পুরানো কার্ড জমা দিতে হবে এবং ৩৪৫ টাকা ফি (সাধারণ ডেলিভারি) দিতে হবে।

সাধারণ প্রশ্নোত্তর (FAQ)

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগে?

ব্যক্তিগত তথ্য সংশোধনের জন্য প্রথমবার ২৩০ টাকা, দ্বিতীয়বার ৩৪৫ টাকা, এবং তৃতীয়বার বা পরবর্তীতে ৫৭৫ টাকা। অন্যান্য তথ্য বা ঠিকানা সংশোধনের জন্য ১১৫ টাকা। উভয় তথ্য সংশোধনের জন্য ৩৪৫ টাকা (প্রথমবার)।

ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন করতে কত টাকা লাগে?

নাম সংশোধন ব্যক্তিগত তথ্যের আওতায় পড়ে। ফি: প্রথমবার ২৩০ টাকা, দ্বিতীয়বার ৩৪৫ টাকা, তৃতীয়বার ৫৭৫ টাকা (১৫% ভ্যাটসহ)।

ভোটার আইডি কার্ড জন্ম তারিখ বা বয়স সংশোধন করতে কত টাকা লাগে?

জন্ম তারিখ বা বয়স সংশোধনের জন্য প্রথমবার ২৩০ টাকা, দ্বিতীয়বার ৩৪৫ টাকা, এবং তৃতীয়বার ৫৭৫ টাকা। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (জন্ম সনদ, এসএসসি সনদ) উপজেলা নির্বাচন অফিসে জমা দিতে হবে।

স্মার্ট কার্ড সংশোধন ফি কত?

স্মার্ট কার্ড রিপ্লেস করতে ৩৪৫ টাকা (সাধারণ) বা ৫৭৫ টাকা (জরুরি) ফি লাগে। স্থানীয় নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করতে হবে।

সংশোধিত স্মার্ট কার্ড কীভাবে পাব?

সংশোধনের পর তথ্য অনলাইনে আপডেট হয়। নতুন স্মার্ট কার্ড পেতে নির্বাচন অফিসে পুরানো কার্ড জমা দিয়ে আবেদন করতে হবে। বিকল্প হিসেবে, অনলাইন থেকে ল্যামিনেটেড কপি নিতে পারেন।

নিজ/পিতা/মাতা/স্বামীর নামের বানান সংশোধনের জন্য কী কী দলিল লাগবে?

এসএসসি/সমমান সনদ, জন্ম নিবন্ধন সনদ, পিতা/মাতা/স্বামীর NID কার্ডের সত্যায়িত কপি, পাসপোর্ট, কাবিননামা (প্রযোজ্য হলে), নাগরিকত্ব সনদ, বা চাকরির প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফি ফেরতযোগ্য কি?

না, ফি ফেরতযোগ্য নয়, এমনকি আবেদন বাতিল হলেও।

শেষ কথা

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করা এখন অনলাইনের মাধ্যমে অনেক সহজ এবং সাশ্রয়ী। ব্যক্তিগত তথ্য সংশোধনের জন্য ২৩০ টাকা থেকে শুরু করে অন্যান্য তথ্য বা ঠিকানা সংশোধনের জন্য মাত্র ১১৫ টাকা ফি দিয়ে আপনি ঘরে বসেই এই কাজ সম্পন্ন করতে পারেন। সঠিক কাগজপত্র এবং নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে আবেদন করলে ৭ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে সংশোধিত NID পেয়ে যাবেন। বিভ্রান্তি এড়াতে নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে ফি এবং প্রক্রিয়া যাচাই করুন। যদি আরও কোনো প্রশ্ন থাকে, তাহলে স্থানীয় নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করুন। মাধ্যমে আজ আমরা আপনাকে “ভোটার আইডি কার্ড নাম সংশোধন করতে কত টাকা লাগে” এ সম্পর্কে জানানোর পাশাপাশি বিস্তারিত তথ্য জানাতে পেরেছি।

আরও জানতে পারেনঃ ১০ সংখ্যার এনআইডি থেকে ১৩ বা ১৭ সংখ্যার এনআইডি বের করুন

দ্রষ্টব্য: এই আর্টিকেলে উল্লিখিত ফি এবং নিয়ম ২০২৫ সালের তথ্যের উপর ভিত্তি করে লেখা। সর্বশেষ তথ্যের জন্য services.nidw.gov.bd চেক করুন।

অন্যান্য পোস্টগুলো

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *