একের অধিক ভোটার আইডি কার্ড হলে বা বয়স বাড়িয়ে ভোটার হলে আইডি কার্ড বাতিল করতে হবে। নয়তো ১০ হাজার টাকা জরিমানা বা ৬ মাসের জেল কিংবা উভয় সাজা হতে পারে।
অনেকেই একের অধিক ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করে থাকেন। ফলে, তাদের আসল এনআইডি কার্ডের পাশাপাশি আরও আইডি কার্ড তৈরি হয়। এই অবস্থাকে দ্বৈত ভোটার বলা হয়। দ্বৈত ভোটার হলে বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী সাজা দেয়া হবে।
তাই, আপনি যদি দ্বৈত ভোটার হয়ে থাকেন তাহলে নকল আইডি কার্ডটি আজই বাতিল করুন। বিস্তারিত জানতে শেষ অব্দি পড়ুন।
ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করার নিয়ম
ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করার জন্য একটি আবেদনপত্র লিখতে হবে। আবেদনপত্রে আসল ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার, নকল ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার এবং সকল তথ্য উল্লেখ করতে হবে। এছাড়া, আসল এবং নকল উভয় ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি ও জন্ম সনদের ফটোকপি সংযুক্ত করতে হব।
এভাবে উপজেলা নির্বাচন কমিশন অফিসে দায়িত্বরত কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করলে তারা আপনার বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে নকল ভোটার আইডি কার্ডটি বাতিল করে দিবেন। ফলে, আইনি ঝামেলায় পড়তে হবেনা এবং সুষ্ঠুভাবে ভোট প্রদান করতে পারবেন।
নির্বাচন কমিশন থেকে দ্বৈত ভোটারদের ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করা হচ্ছে। তাই, আপনার যদি একের অধিক ভোটার আইডি কার্ড থাকে, তাহলে আসলটি রেখে নকল আইডি কার্ডটি বাতিল করে নিন। নয়তো, আপনার আসল এনআইডি কার্ডটি বাতিল হয়ে যেতে পারে।
ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করতে কি কি লাগে
ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করার জন্য একটি আবেদন করতে হবে। আবেদনপত্র লেখার সময় আসল এবং নকল এনআইডি কার্ডের নাম্বার ও জন্ম তারিখ সহ বিস্তারিত তথ্য লিখতে হবে। আপনার আইডি কার্ডটি কেন বাতিল করতে চাচ্ছেন তা লিখতে হবে। এছাড়া, নিচে উল্লিখিত কাগজপত্রগুলো আবেদনপত্রের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।
- আসল এবং নকল এনআইডি কার্ডের ফটোকপি
- জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি
- উপজেলা নির্বাচন কমিশন অফিস থেকে চাহিত অন্যান্য কাগজপত্র
সঠিকভাবে আবেদনপত্র লিখে সাবমিট করলে এক থেকে দুই মাসের মাঝে আপনার নকল এনআইডি কার্ডটি নির্বাচন কমিশন থেকে বাতিল করে দেয়া হবে।
দ্বৈত ভোটার হলে করনীয়
স্বেচ্ছায় বা অনিচ্ছায় কেউ একের অধিকবার ভোটার হয়ে গেলে এনআইডি সার্ভার থেকে তার আগের এনআইডি কার্ড অটো ডিটেক্ট করে সেটি ডিলেট করে দেয়া হয়ে থাকে। কারো ক্ষেত্রে দুইটি আইডি কার্ড হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে, দ্বৈত ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করার জন্য নির্বাচন কমিশন অফিসে আবেদন করতে হবে।
105 নাম্বারে কল করে দ্বৈত ভোটার বাতিল করার আবেদন প্রসঙ্গে আরও বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন। তবে, আবেদন করার মাধ্যমে আসল ভোটার আইডি কার্ড রেখে নকল আইডি কার্ডটি বাতিল করে নেয়া যায়।