ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে চাচ্ছেন? ভোটার এলাকা পরিবর্তন করার সহজ পদ্ধতি জানতে পারবেন এই পোস্টে।

ভোটার আইডি কার্ডের বর্তমান ঠিকানা পরিবর্তন করার মাধ্যমে ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে পারবেন। ফলে, নতুন ঠিকানার ভোটার তালিকায় আপনার নাম আসবে এবং আপনি ভোট দিতে পারবেন। আরও বিস্তারিত জানতে শেষ অব্দি পড়ুন।

ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে কি কি লাগে

ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে চাইলে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র লাগবে। এসব কাগজপত্র দিয়ে বর্তমান ঠিকানা পরিবর্তন করার জন্য আবেদন করতে হবে। যেসব কাগজপত্র লাগবে —

  • ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি
  • ভোটার এলাকা পরিবর্তন ফরম ১৩
  • নতুন স্থানের নাগরিকত্ব সনদপত্র
  • ইউটিলিটি বিলের কপি
  • সংশ্লিষ্ট ঠিকানায় পরিবারের যেকোন একজনের এনআইডি কপি
  • ফরম ১৩ এর দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় নতুন এলাকার কাউন্সিলর/চেয়ারম্যান এর নাম, স্বাক্ষর, সিল এবং NID নাম্বার থাকতে হবে

ভোটার এলাকা পরিবর্তন করার নিয়ম

ভোটার এলাকা পরিবর্তন করার জন্য ভোটার এলাকা পরিবর্তন ফরম ১৩ ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিতে হবে। অতঃপর, ফরমটি যথাযথ তথ্য দিয়ে পূরণ করতে হবে এবং ফরমের সাথে উপরে সংযুক্ত কাগজপত্র যুক্ত করতে হবে। ফরমটি উপজেলা নির্বাচন কমিশন অফিসে জমা দেয়ার মাধ্যমে আবেদন সম্পন্ন করতে পারবেন।

আবেদন করার পর ৭ থেকে ১৫ দিনের মাঝে আবেদন অনুমোদিত হয়ে থাকে। আবেদন অনুমোদিত হলে আপনার দেয়া নতুন ঠিকানার ভোটার তালিকায় আপনার নাম উঠে আসবে। এরপর, নতুন ঠিকানা সহ আইডি কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন অনলাইন থেকে।

ভোটার এলাকা পরিবর্তন করার পর এনআইডি একাউন্ট রেজিস্টার করুন এবং ভোটার আইডি কার্ড রিইস্যুর জন্য আবেদন করুন। তাহলে আপনার নতুন ঠিকানা সম্বলিত আইডি কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন।

ভোটার এলাকা পরিবর্তন ফরম ১৩ pdf download

ভোটার এলাকা পরিবর্তন করার জন্য যে NID Form 13 প্রয়োজন হয়, সেটি নিচে সংযুক্ত করে দেয়া হয়েছে। ডাউনলোড আইকনে ক্লিক করে ফরমের PDF ফাইলটি ডাউনলোড করে নিন। এরপর, প্রিন্ট করে উপরোক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করে ঠিকানা পরিবর্তন করার জন্য আবেদন করুন।

বিভিন্ন প্রশ্নোত্তর

ভোটার এলাকা পরিবর্তন ফি কত টাকা?

ভোটার এলাকা পরিবর্তন আবেদন করার জন্য কোনো ফি দরকার হয়না। ভোটার এলাকা পরিবর্তন হয়ে গেলে নতুন আইডি কার্ড রিইস্যুর জন্য আবেদন করতে ২৩০ টাকা ফি প্রয়োজন হবে।

ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে কতদিন সময় লাগে?

ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে ৭ থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত সময় লেগে থাকে। আবেদন অনুমোদন হলে অনলাইন থেকে আপনার নতুন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।

অন্যান্য পোস্টগুলো

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *